রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

অজু করতে গিয়ে ধর্ষিত ও নিহত কিশোরী 

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফজর নামাজের অজু করতে উঠে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আড়াইহাজারের গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত কিশোরী রামচন্দ্রদী এলাকার আফতাব উদ্দিন ওরফে আকতার হোসেনের মেয়ে তানজিনা আক্তার (১৫)। সে স্থানীয় কওমী মাদরাসার ছাত্রী ছিলেন। আকতার হোসেন একটি গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে ফজর নামাজ পড়তে আমরা সবাই ঘুম থেকে উঠি। একই সময় আমার মেয়েও নামাজ পড়তে উঠে। আমরা নামাজের পর মেয়েকে না দেখে, খুঁজতে থাকি। এরপর সকালে বাড়ির পাশে একটি গর্তে তানজিনার লাশ দেখতে পাই। পরিবারের বরাত দিয়ে আড়াইহাজার থানার গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আজহার জানান, তানজিনা আক্তার একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করতেন। ভোরে কে বা কারা তানজিনাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে তাদের বাড়ির পাশে একটি গর্তে লাশটি ফেলে দিয়ে যায়। 

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ফজর নামাজ পড়তে উঠে অজু করতে গিয়ে নিখোঁজ হন তানজিনা। তখন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সকালে বাড়ির পাশের একটি গর্তে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন। এখন পর্যন্ত আমরা শ্বাসরোধে হত্যা বলে ধারণা করছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর হত্যার আসল কারণ জানা যাবে।

এসআইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা: এদিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মো. সবুর উদ্দিন নামে পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন এক নারী। গতকাল বৃহস্পতিবার এই মামলা দায়ের করা হয়। পরে বিচারক বিষয়টি পিবি আইকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিয়েছেন। ধর্ষণে অভিযোগ মো. সবুর উদ্দিন শেরপুর জেলার নকলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা শ্যামগঞ্জ উত্তর বাজার এলাকায় জনৈক আব্দুল হাইয়ের ছেলে। 

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মুকলেছুর রহমান আকন্দ জানান, ২০১৭ সালে নালিতাবাড়ি থানায় ওই নারীর  করা একটি শ্লীলতাহানির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক মো. সবুর উদ্দিন। মামলার তদন্ত করার সুবাধে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘনিষ্ঠতার একপর্যায়ে বাদীর স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ভিকটিমকে বিবাহ করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপরিচিত দুজন লোক নিয়ে নীল কাগজে লেখালেখি করে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায়। এরপর ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে তারা স্থানীয় কলিম উদ্দিনের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে একসাথে বসবাস করতে থাকেন।  পরে সবুর নকলায় থানায় বদলী হয়ে গেলে চলতি মাসের ১ তারিখে নকলা থানায় গিয়ে বাদী ভরণপোষণ দাবী করলে সবুর ভিকটিমকে বিবাহ করে নাই বলে জানান। ভিকটিমের দাবী সবুর প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে।

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ